নেপাল অনুর্ধ্ব-ঊনিশ একাদশের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-ঊনিশ একাদশ পৌঁছে গেল ২০১৬ অনুর্ধ্ব-ঊনিশ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ আরো একটা বড় পদক্ষেপ নিল ফাইনালের দিকে। এই বারের আয়জক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-ঊনিশ বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার এবং এই জয়ের ফলে সেই ধারণা আরো সুদৃঢ় করল যুবা বাংলাদেশ দল। মীরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অন্তিম ওভারের আগেই একটি ছক্কার সাহায্যে নিজের দলকে জয়ের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয় শুক্রবারের জয়ের এক নায়ক জাকির হাসান। ছয় উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেওয়া বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের প্রথম দল যারা সেমি-ফাইনালে পৌঁছল। জয়ের পর খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের উচ্ছাস ছিল দেখার মত।
টস জিতে প্রথমেই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল অধিনায়ক রাজু রিজল। ব্যাটিং শুরুর ছ’ওভারের মাথায় বাংলাদেশকে তাদের প্রথম সাফল্য এনে দেয় মোহম্মদ সইফুদ্দিন। ওপেনার সন্দীপ সুনারকে সাত রানে ফিরিয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশ আবার আরেকবার নেপালকে বিপাকে ফেলে বাংলাদেশ। তিন নম্বর ব্যাটসম্যান যোগেন্দ্র সিং কর্কিকে মাত্র এক রান করেই ফিরে জেতে হয়। নেপালের হয়ে প্রথম উল্লেখযোগ্য ব্যাটিংয়ের নিদর্শন আসে অধিনায়ক রাজু রিজলের হাত ধরে। রিজল নিজের ইনিংসটি ধীরে ধীরে গড়ে তোলে, অপরদিকে বারংবার উইকেট পরতে থাকলেও রিজল হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। সঠিক পার্টনার না পাওয়া সত্ত্বেও রিজল নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে থাকে শতকের দিকে।
বাংলাদেশের বাঞ্ছিত উইকেটটি আসে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির হোসেনের যুগলবন্দীতে। নাজমুলের ছোঁড়া বলে উইকেটকিপার জাকির হোসেন অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে রিজলকে আউট করে দেয়। বাংলাদেশ আবার খেলায় ফিরে আসে এই উইকেটটির সাথে সাথে এবং নেপালের পঞ্চাশ ওভারের শেষে রান দাঁড়ায় নয় উইকেট হারিয়ে ২১১।
বাংলাদেশের হয়ে মোহম্মদ সইফুদ্দিন দুই উইকেট নেয়, একটি করে উইকেট নেয় মেহদি হাসান রানা, মেহদি হাসান মিরাজ এবং সালে আহমেদ শাওন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে একটি অত্যন্ত আশানুরূপ ইনিংস খেলে পিনাক ঘোষ। সইফ হাসান পাঁচ রানে আউট হয়ে গেলেও পিনাক বাংলাদেশের হয়ে ৩২ রানের প্রশংসনীয় ইনিংস খেলেন রান আউট হওয়ার আগে। জয়রাজ শেখ ৩৮ করে সুনীল ধামালার বলে আউট হলে বাংলাদেশের জয়ের দুই নায়ক জাকির হাসান এবং মেহদি হাসান মিরাজ জুটি বাঁধে।
দুই হাসানের জুটির যৌথ আক্রমণের কোনো জবাব নেপাল বোলারদের কাছে ছিল না। জাকির হাসান ম্যাচ শেষে পঁচাত্তরে এবং মিরাজ পঞ্চান্নয় অপরাজিত থাকেন।
নেপালের হয়ে দুই উইকেট নেয় সুনীল ধামালা এবং একটি উইকেট পায় সন্দীপ লামিছানে। উল্লেখযোগ্য বিষয়, নেপাল তাদের বোলিং চলাকালীন মাত্র দুটি অতিরিক্ত রান দেয়।
উপস্কোরঃ
নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ ৫০ ওভারে ২১১/৯ (রাজু রিজল ৭২), বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ৪৮.২ ওভারে ২১৫/৪ (জাকির হাসান ৭৫*, মেহদি হাসান মিরাজ ৫৫*)। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ১০ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচের সেরাঃ মেহদি হাসান মিরাজ।
(Paulami Chakraborty, a singer, dancer, artist, and photographer, loves the madness of cricket and writes about the game. She can be followed on Twitter at @Polotwitts)
This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.
Strictly Necessary Cookies
Strictly Necessary Cookie should be enabled at all times so that we can save your preferences for cookie settings.
If you disable this cookie, we will not be able to save your preferences. This means that every time you visit this website you will need to enable or disable cookies again.